হবিগঞ্জ, ০৫ জুন : একদিকে পরিবেশ দিবসের জমজমাট আয়োজন অন্যদিকে গাছ কেটে উজাড়। তীব্র তাপদাহের মধ্য দিয়েই নির্বিচারে চলছে গাছ কাটার মহা উৎসব। প্রতিবাদী মানুষজনের সংখ্যা কম হলেও তীব্রতা ছিলো বেশি।
গত দুই সপ্তাহ ধরে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের হাজার হাজার গাছ কেটে উজাড় করে ফেলা হয়েছে। গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংসের দায়িত্ব নিয়েছে হবিগঞ্জের প্রশাসন। নির্বিচারে গাছ কেটে পরিবেশকে ফেলে দিচ্ছে হুমকির মুখে। প্রচন্ড তাপদাহে ও বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে মুক্তি দিতে পারে যে গাছ সেই গাছ কে হত্যা করে উন্নয়ন নামক মুলা ঝুলিয়ে রেখেছে প্রশাসন। অন্যদিকে আজকে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিবেশ দিবস ঢাক ঢোল পিটিয়ে উৎযাপন করে যা পুরুটাই সাংঘর্ষিক।
হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী বন্ধু, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের নেতা কর্মী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন কর্মীদের সমন্বয়ে (৫ জুন) সোমবার সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচি এর মূল প্রতিপাদ্য দাবী ছিলো গাছ কাটা নিষেধ।
মানববন্ধনে সাবেক জেলা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মাহমুদা খাঁ'র সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমদাদ মোহাম্মদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কবি তাহমিনা বেগম গিনি, বাসদ (মার্ক্সবাদী) নেতা শফিকুল ইসলাম, বাপা'র সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন সোহেল, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি প্রণব কুমার দেব, মুক্তাঞ্চল সাহিত্য পরিষদের বন্ধু বৃন্দা ও কাব্য, ছাত্রনেতা আনাস মোহাম্মদ সহ আরো অনেকে। মানববন্ধন শেষে পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কে অবস্থান করে আন্দোলনকারীরা। দুই দফায় পাইকপাড়া ও জগৎপুরে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেন ঐসব এলাকার শ্রমিক, মেহনতী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারীরা কঠোর হুশিয়ারী দেন। অনতিবিলম্বে গাছ কাটা বন্ধ ও পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব না নিলে কঠোর আন্দোলনে নামবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan